ঢাকা, ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৯২৪

ভূমধ্যসাগরের গহীন জলে শেষ হলো ৩৭ বাংলাদেশীর স্বপ্ন  

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:৩৭ ১২ মে ২০১৯  

ভূমধ্যসাগরের তিউনিশিয়া উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতদের বেশিরভাগই বাংলাদেশের নাগরিক। জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসী বিষয়ক সংস্থা (আইওএম)।

নিহতদের মধ্যে ৩৭ জন বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে রেডক্রিসেন্ট। তাদের মধ্যে ৫ জনের বাড়ি সিলেট। একজনের বাড়ি মৌলভীবাজারে।

নিহতরা হলেন - ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কটালপুর এলাকার মুয়িদ পুর গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ ( ২৫), একই গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আহমদ (২৪), সিরাজ মিয়ার ছেলে লিটন (২৪) এছাড়াও ঘটনায় ফেঞ্চুগঞ্জের দিনপুর গ্রামের আরেকজন প্রাণ হারিয়েছেন। তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনায় আহসান হাবিব শামিম কামরান আহমেদ মারুফ নামের আরও দুই যুবক নিখোঁজ রয়েছেন।

নিহত আজিজের ভাই মফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তিউনিসিয়া উপকূল থেকে বেঁচে যাওয়া তার চাচা মুয়িদপুর গ্রামের দিলাল ফোনে জানিয়েছেন নৌকাডুবিতে ফেঞ্চুগঞ্জের চার জন মারা গেছেন।

 

মর্মান্তিক এ ঘটনায় ১৪ বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে। ঘটনাটি নিশ্চিত করে হতাহতদের বিষয়ে লিবিয়া ও তিউনিশিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

 

সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যাওয়াদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে তিউনিশিয়ার জারজিস এলাকার বাতাস। চোখের সামনে এতো মানুষের মৃত্যু দেখে যেন কান্না থামছে না তাদের।

 

শুক্রবার রাজধানী তিউনিস থেকে ৭৪ কিলোমিটার দক্ষিণের সাফাক্স শহরে ভূমধ্যসাগরের উপকূলে ৭০ জনের বেশি শরণার্থী বোঝাই একটি নৌকা ইউরোপে পাড়ি দেয়ার সময় ডুবে যায়। জানা যায়, নৌকাটি ইতালি যাচ্ছিল। নৌকা ডুবে নিহতদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি। এছাড়া উদ্ধার করা গেছে আরও কয়েকজন বাংলাদেশিকে।

তারা অবৈধভাবে সমুদ্র পথে লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিউনিশিয়ার নৌ-বাহিনীর জাহাজ জীবিতদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে। সাগরে উত্তাল স্রোতের কারণে ওই নৌকা ডুবে যায় বলে জানা গেছে।

তিউনেশিয়ার রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তারা জানান, উত্তাল সাগরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নৌকাটি ১০ মিনিটের মধ্যে ডুবে যায়।

 

 

 

 

এদিকে, ডুবে যাওয়া নৌকায় ছিলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদের ভাই হাফিজ আহসান হাবিব শামিম এবং শ্যালক কামরান আহমেদ মারুফ। মারুফ সিলেটের গোলাপগঞ্জের শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের কুদুপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছোট ছেলে।

 

তবে ভাগ্যক্রমে দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে যান মারুফ আহমেদের ভাই মাছুম আহমেদ। তার বরাত দিয়ে বড় ভাই মাসুদ আহমেদ জানান, মারুফকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সমুদ্রের স্রোতে সে তলিয়ে যায়। পরে উদ্ধারকারীরা মাছ ধরার একটি নৌকা দিয়ে গিয়ে ১৬ জনকে উদ্ধার করলেও মারুফের হদিস মেলেনি।